একদিন দুদিন প্রতিদিন
“ স্যার , আপ ব্যাগ ভুল গয়ে। “ ব্যাগটা নিয়ে রুমের বাইরে বেরোতেই গম্ভীর বাতাস ধাক্কা মারলো। লোকে বলে , এই করিডরে নেশা আছে। করিডর ঘেঁষা সারি সারি লাল - সবুজ বাতি লাগানো ঘরের ভেতর দেশ কেনাবেচা হয় , দেড় বিলিয়ন মানুষের ভাগ্যে সিলমোহর লাগানো হয়। আর আমি প্রতিদিন সকালে ল্যাপটপের ব্যাগ নিয়ে যখন লাল কার্পেটের উপর দিয়ে হাঁটি , মোটা দেয়ালের পুরোনো গন্ধ আর বন্ধ দরজার সামনে বসে থাকা আর্দালির আলসেমির ছন্দ , নেশাই লাগিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে যখন রাত বাড়ে , আর নেভানো বাতি গুলো বলে ‘ সাহাব নেহি হ্যায় ’, আমি ফেরার গতিবেগ কমিয়ে দিই। দিনভরের হাস্যকর শূন্যতা আর শীতল নির্মমতা তখন ঘুমিয়ে পড়া ফুটপাথের বাচ্চার মতো থিতনো - আর আমার সাথে দেখতে গেলে তখন কলকাতার বুড়ো ট্রামেরও অনেক মিল। দুজনেই নির্লিপ্ত চোখে ভাবি , এই শেষ বার। কাল আর না। আমি ঐশিকার শরীর খারাপের খবর পেলাম এই ফাঁপা করিডোরেই। তানিয়ার মা অত্যন্ত কঠিন মহিলা। আর যখন তিনি বল...